Wednesday 24 June 2015

বাংলাদেশ বনাম ভারত ওয়ানডে ক্রিকেট জরিপ-২০১৫ / ড. মোহাম্মদ আমীন

এ মাত্র শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম ভারত ওয়ানডে ক্রিকেট জরিপ-২০১৫ ও তার বিশ্লেষণ। ২০১৫ খ্রিস্টাব্দের জুন মাসে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-ভারত ওয়ানডে সিরিজে ভারত ২-১ ম্যাচে হেরেছে। এ বিষয়ে জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মন্তব্য জানতে চাওয়া হয়েছে।  ১১৭ জন বাংলাদেশিকে  জরিপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাদের কেউ মুসলিম নন, তবে একই ধর্মাবলম্বী। কৌশলে তাদের অভিমত জানার চেষ্টা করা হয়েছে, এটি যে জরিপ এমনটি তাদের কাউকে বুঝতে দেওয়া হয়নি।
জরিপে অংশগ্রহণকারীগণের মধ্যে ১০৩ জন ছিলেন উচ্চশিক্ষিত। বাকিরা স্বল্পশিক্ষিত, তবে ধনী। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে কেবল ৯ জন লোক ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশ জয়ী হওয়ায় খুশি হয়েছেন। ১১ জন  কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। হেসে এড়িয়ে দিয়েয়েছেন। বাকি ৯৭ জনের প্রত্যাশা ছিল ভারতের জয়।

Saturday 20 June 2015

হুমায়ূন আহমেদ, জাফর ইকবাল, আহসান হাবীব ও বাংলা কথাসাহিত্যে জনপ্রিয় নবধারার উৎস-পরুষ ফয়জুর রহমান আহমেদ / ড. মোহাম্মদ আমীন

ফয়জুর রহমান আহমেদ : বাংলা কথাসাহিত্যে জনপ্রিয় নবধারার উৎসপুরুষ

পুলিশ অফিসার, কথাসাহিত্যিক ও বাংলা কথাসাহিত্যে জনপ্রিয় নবধারার উৎস-পুরুষ ফয়জুর রহমান আহমেদ ১৯২১ খ্রিস্টাব্দের ২১ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর স্ত্রীর নাম আয়েশা আখতার খাতুন। ফয়জুর রহমান হচ্ছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ ও মুহম্মদ জাফর ইকবালের পিতা। হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮
ফয়জুর রহমান আহমেদ
খ্রিস্টাব্দের ১৩ নভেম্বর তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানের ময়মনসিংহ জেলার অন্তর্গত নেত্রকোণা মহকুমার (বর্তমানে জেলা) কেন্দুয়ার কুতুবপুর গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০১২ খ্রিস্টাব্দের ১৯ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

পুলিশ বিভাগের অনেকে বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে নানাভাবে অবদান রেখেছেন। তবে ফয়জুর রহমানের অবদান যেমন সুদূরপ্রসারী ছিল তেমনি পরবর্তীকালে তা অত্যন্ত কার্যকর প্রতীয়মান হয়েছেন। তিনি সাহিত্যকর্মে জড়িত থাকলেও তেমন বিস্তৃতি পরিসরে যাওয়ার আগে শহীদ হন। কিন্তু তিনি তাঁর সন্তানদের যেভাবে গড়ে তুলেছেন এবং সন্তানগণ যেভাবে গড়ে উঠেছেন তা পরবর্তীকালে বাংলা সাহিত্য সম্ভারে এনে দিয়েছে নতুন এক জনপ্রিয় ধারা।

পুলিশ অফিসার ফয়জুর রহমান আহমেদ ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পিরোজপুর মহকুমার এসডিপিও হিসাবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ৫ মে পাকিস্তানি হানাদারেরা পিরোজপুরের মহকুমা পুলিশের প্রধান ফয়জুর রহমান আহমেদকে হত্যা করে। হত্যার পর তার লাশ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। পরে গ্রামবাসীর উদ্যোগে তাঁর মৃতদেহ নদী থেকে উদ্ধার করে দাফন করা হয়। অনেকের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, ফয়জুর রহমান আহমেদ পিরোজপুর মহকুমায় বেশ জনপ্রিয় ছিলেন। সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কর্মকা-েও তিনি প্রচুর সময় ব্যয় করতেন। মূলত তাঁকে হত্যা করার বিষয়ে হানাদার বাহিনীর এটি অন্যতম কারণ ছিল। হুমায়ূন আহমেদ জনপ্রিয় হওয়ার পূর্ব-পর্যন্ত দীর্ঘদিন ফয়জুর রহমানের কবর নিয়ে তেমন কেউ মাথা ঘামায়নি। ২০০৯ খ্রিস্টাব্দের অক্টোবর মাসে বহু বছর পর মুহম্মদ জাফর ইকবাল তাঁর বাবার কবর দেখতে যান। এরপর তাঁর কবর ব্যাপকভাবে জনসমক্ষে আসে।
হুমায়ূন আহমেদ

ফয়জুর রহমান আহদে ও তাঁর মা আয়েশা ফয়েজ দুজনেই ছিলেন সাহিত্যিক। পারিবারিক পরিম-লে সাহিত্য-সংস্কৃতি-
চর্চার অনুকূল আবহে তঁঅর সন্তানগণের  শৈশব জীবন অতিবাহিত হয়। ফয়জুর রহমানের সাহিত্য-সংস্কৃতির প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিল। তিনি সমকালীন পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত লিখতেন। বগুড়ায় অবস্থানকালে ‘দীপ নেভা যার ঘরে’ নামের একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। এ গ্রন্থে তিনি তাঁর স্বদেশ ভাবনা ও আর্থসামাজিক বিষয়গুলো দার্শনিক নান্দনিকতায় তুলে ধরেছেন।

ফয়জুর রহমান আহমেদ নিজে সাহিত্য সৃষ্টির পাশাপাশি সন্তানদের সাহিত্যচর্চায় জন্য উৎসাহ দিতেন। তাঁর প্রথম সন্তান হুমায়ূন আহমেদ, দি¦তীয় সন্তান মুহম্মদ জাফর ইকবাল একজন কথাসাহিত্যিক এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং কনিষ্ঠ সন্তান আহসান হাবীব খ্যাতিমান রম্যলেখক ও কার্টুন ম্যাগাজিন ‘উন্মাদ’-এর সম্পাদক। তাঁদের মা আয়েশা ফয়েজও লেখালেখি করতেন।  ২০০৮ খ্রিস্টাব্দে ‘জীবন  যে রকম’
মুহম্মদ জাফর ইকবাল
নামে তাঁর একটি আত্মজীবনমূলক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। ফয়জুর রহমানের ঐকান্তিক পরিচর্যা ও আগ্রহ তিন ভাইকে লেখার জগতেই শুধু আনেননি, স্থায়ীই করে দিয়েছেন চিরকালের কোলে সাহিত্যের নির্মেঘ মহিমায়। পুলিশ অফিসার পিতার পৃষ্ঠপোষকতা ও উৎসাহ না-থাকলে হয়তো বাংলা সাহিত্য এ তিনরত্নের বিরল সাহিত্যকর্ম হতে বঞ্চিত হতো- এমনটি বলা অযৌক্তিক হবে না। এ হিসাবে তাঁকে বাংলা সাহিত্যে নবধারার প্রতিষ্ঠাতা তিন দিকপালের স্রষ্টা বলা যায়। ফয়জুর রহমান আহমেদের এ ভূমিকা ও অবদান বঙ্কিমচন্দ্র চেট্টোপাধ্যায়ের পিতা যাদবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তুলনীয়।
আহসান হাবীব
পিরোজপুর মহকুমায় চাকরিকালীন ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ৫ মে একজন লোক এসে এসডিপি ফয়জুর রহমান আহমেদকে স্থানীয় মিলিটারি ক্যাম্পে যাওয়ার জন্য
বলে।  তিনি সরল বিশ্বাসে মিলিটারি ক্যাম্পে যান। এরপর তাঁকে আর কেউ
জীবিত দেখেননি। পাকিস্তানি বাহিনী তাঁকে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেয়। পিরোজপুরেই  শহিদ ফয়জুর রহমান আহমেদকে দাফন করা হয়। তাঁর সমাধি ফলকে লেখা আছে :
‘নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে
রয়েছ নয়নে নয়নে’
ফয়জুর রহমান আহমেদ
(মহকুমা পুলিশ প্রধান)

Monday 15 June 2015

ড. মোহাম্মদ আমীনের গ্রন্থসমূহের তালিকা / ড. এ কে এম আখতারুল কবীর

১. জর্জ ওয়াশিংটন হতে বারাক ওবামা; আগামী প্রকাশনী, ২০০৯, মূল্য - ৪০০ টাকা।
২. পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের জাতির পিতা; আগামী প্রকাশনী, ২০১১, মূল্য - ৩০০ টাকা।
৩. সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী ১৯০১-২০১৩; আগামী প্রকাশনী, ২০১২, মূল্য - ৫০০ টাকা।
৪. বৈচিত্র্যময় তথ্যে সচিত্র নোবেল প্রাইজ; আগামী প্রকাশনী, ২০১১; মূল্য - ২০০ টাকা।
৫. বঙ্গবন্ধুর বাণী; আগামী প্রকাশনী; ৭০ টাকা।
৬. সুবেদার আহমদ হোসেন বীর প্রতীকের জবানিতে ঠাকুরগাঁওয়ের মুক্তিযুদ্ধ ; আগামী প্রকাশনী, ২০০৫, মূল্য - ৮০ টাকা।
৭. হাসতে হাসতে বাংলা শেখা ; আগামী প্রকাশনী, ২০০৬, মূল্য - ৮০ টাকা।
৮. বাংলা সাহিত্য ও ভাষা আন্দোলনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ; আগামী প্রকাশনী
৯. সহজ বাংলা উচ্চারণ; আগামী প্রকাশনী; ২০০৬, মূল্য - ৯০ টাকা।
১০. আহমদ ছফার চোখে বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী; আগামী প্রকাশনী
১১. বঙ্গবন্ধু চিরন্তন মহামানব; আগামী প্রকাশনী, ২০১০; ১০০ টাকা।
১২. নন্দিত কান্না নিন্দিত হাসি ; আগামী প্রকাশনী; ২০০৭, মূল্য - ১০০ টাকা।
১৩. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব : অলৌকিক মহিমা; আগামী প্রকাশনী, ২০০৬; মূল্য - ৭০টাকা।
১৪. দুই রাজ কুমারী ; আগামী প্রকাশনী, ২০০৮, মূল্য - ৭০ টাকা।
১৫. রমণীয় পাঁচালী; আগামী প্রকাশনী; ২০০৭, মূল্য - ৮০ টাকা।
১৬. খরগোশ ও কচ্ছপ; আগামী প্রকাশনী, ২০০৮, মূল্য - ৮০ টাকা।
১৭. বদল বাড়ির ভূত; আগামী প্রকাশনী, ২০১০, মূল্য -৭৫ টাকা।
১৮. মানুষই সেরা; আগামী প্রকাশনী, ২০০৫; মূল্য - ৪০ টাকা।
১৯. আন্তর্জাতিক দিবস ( ছোটদের); আগামী প্রকাশনী, মূল্য - ৭০ টাকা।
২০. অভয়নগরের ইতিহাস ; আগামী প্রকাশনী; ২০০৬, মূল্য - ৬০০ টাকা।
২১. মোহনীয় নরক; আগামী প্রকাশনী, ২০১৩; মূল্য - ৪৫০ টাকা।
২২. বাংলা বানানে ভুল কারণ ও প্রতিকার; আগামী প্রকাশনী, ২০১১, মূল্য - ৩০০টাকা।
২৩. তিলোত্তমা হাতিয়া: ইতিহাস ও ঐতিহ্য; হাতিয়া সমিতি, চট্টগ্রাম, ২০০১; মূল্য - ২০০টাকা।
২৪. তিলোত্তমা হাতিয়া : সমস্যা ও সম্ভাবনা; প্রকাশক, চেয়ারম্যানবৃন্দ, ২০০২, মূল্য - ১০০ টাকা।
২৫. সিঙ্গাপুর আইসিটি সম্মেলনে সৈয়দ আবুল হোসেন; আনন্দধারা, ২০১২, মূল্য - ২০০ টাকা।
২৬. উল্টোদেশে নন্দ ঘোষ; জাগৃতি প্রকাশনী, ২০১১; মূল্য - ১২৫ টাকা।
২৭. ভেদরগঞ্জের ইতিহাস; উপজেলা প্রশাসন; মূল্য - ১০০ টাকা।
২৮. চকরিয়ার ইতিহাস; আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন কন্ট্রকটার; ২০০২; মূল্য - ২০০ টাকা।
২৯. ম্যাজিস্ট্রেসি ও আদেশনামা; জাগৃতি প্রকাশনী; ২০০২, মূল্য - ৯০ টাকা।
৩০. ইসলামি মূল্যবোধ ও বঙ্গবন্ধু; জাগৃতি প্রকাশনী; ২০০৬, মূল্য - ২৫০ টাকা।
৩১. বাংলা সাহিত্যের অ আ ক খ; জাগৃতি প্রকাশনী, ২০০২, মূল্য - ৯০ টাকা।
৩২. বাংলা বানান ও শব্দ চয়ন; জাগৃতি প্রকাশনী; মূল্য -১২৫ টাকা।
৩৩. রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের কথা; জাগৃতি প্রকাশনী, ২০০৩; মূল্য - ৬৫ টাকা।
৩৪. বন মামলা দায়ের ও পরিচালনার কৌশল; জাগৃতি প্রকাশনী, ২০০২, মূল্য - ৬০ টাকা।
৩৫. পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক আইন; বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ, ২০০০; মূল্য - ৩৫০ টাকা।
৩৬. জামিন তত্ত্ব ও রায়; মেরিট প্রকাশনী; ২০০০, মূল্য - ৭০ টাকা।
৩৭. মামলা ও আইনি হয়রানি হতে নিষ্কৃতির উপায়; জাগৃতি প্রকাশনী, ২০০৩, মূল্য - ৬০ টাকা।
৩৮. প্রশাসনের ভাইরাস; নিজ, ১৯৯৯, মূল্য - ৭০ টাকা।
৩৯. আহমদ ছফার চোখে বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী, জাগৃতি প্রকাশনী, মুল্য - ৭০ টাকা।
৪০. জল দুনিয়ার মানুষ; অনন্যা; ২০১১, মূল্য -১৬০ টাকা।
৪১. সময়ের পরশ পাথর; জাগৃতি প্রকাশনী; ২০১৩, মূল্য - ৬০০ টাকা।
৪২. সময়ের পরশ পাথর; আনন্দধারা, ২০১৩, মূল্য - ১০০০ টাকা।
৪৩. জেলা, উপজেলা ও নদ-নদীর নামকরণের ইতিহাস; গতিধারা; ২০১২, মূল্য - ৬০০ টাকা।
৪৪. শুদ্ধ বানান চর্চা; শুবাচ , ২০১৪, মূল্য - ১৫০ টাকা।
৪৫. রাজকীয় জীবন, শারমেয় মরণ; হাওলাদার প্রকাশনী, ২০১৩; মূল্য - ১৫০ টাকা।
৪৬. আন্তর্জাতিক দিবস (রঙিন); হাওলাদার প্রকাশনী; ২০১৪, মূল্য - ৫৫০ টাকা।
৪৭. স্বপ্ন জড়ানো পাহাড়; বিজয় প্রকাশনী; ২০১২, মূল্য - ২০০ টাকা।
৪৮. গদাই বাবুর তীর্থযাত্রা; মিজান পাবলিশার্স, ২০১১; মূল্য - ৭৫ টাকা।
৪৯. Women marriage and love, ড. মোহাম্মদ আমীন, হাওলাদার প্রকাশনী।
৫০. রঙ্গরসে বাংলা বানান, ড. মোহাম্মদ আমীন, হাওলাদার প্রকাশনী
৫১. অফিস-আদালতে বাংলা লেখার নিয়ম, ড. মোহাম্মদ আমীন, মাওলা ব্রাদার্স।
৫২. বিড়ম্বনা, ড. মোহাম্মদ আমীন, জাগৃতি প্রকাশনী।
৫৩. শুদ্ধ বানান চর্চা, ড. হায়াৎ মামুদ ও ড. মোহাম্মদ আমীন